গরুর জলাতংক রোগের লক্ষণ, করণীয় ও প্রতিশেধক ব্যবস্থা



জলাতঙ্ক কি?
জলাতঙ্ক, যা হাইড্রোফোবিয়া নামেও পরিচিত,এটি একটি তীব্র ভাইরাস সংক্রমণ জনিত রোগ যা এক প্রকার মরণব্যাধি।এর ইংরেজী নাম র‌্যাবিস। এটি ল্যাটিন শব্দ। যার অর্থ ‘পাগলামী করা’। জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশু বা রোগীর আচরণ থেকেই এই নামকরণের সূত্রপাত।এটি এক প্রকার সংক্রামক রোগ এবং খামার বা বন্য প্রাণীদের দ্বারা সংক্রামিত হয়।সাধারণত মাংসাশী প্রাণী যেমন কুকুর,বিড়াল,শেয়াল,বেজি,বানর,চিকাইত্যাদি গরম রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীই জলাতঙ্কের বাহক।জলাতঙ্ক আক্রান্ত যে কোন প্রাণীর কামড়,আচড় এমনকি এদের লেহনেও জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে।বাংলাদেশে জলাতঙ্ক রোগের মূল কারণ জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর।এ রোগের লক্ষণ জল দেখলেই ভয় পাওয়া,জল খাওয়া বা পান করার সময় খাদ্য নালীর উর্ধভাগের মাংসপেশীতে ব্যথাসহ তীব্র সংকোচন হতে পারে। এ জন্যই এর নাম জলাতঙ্ক। এই জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে কুকুর এবং মানুষ উভয়েরই মৃত্যু অনিবার্য।এটি জুনোটিক রোগের অধীনে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে জুনোটিক মানে প্রাণীদের সাথে সম্পর্কিত।একটু সচেতন হলেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লক্ষণ:
জলাতঙ্কের একটি ইনকিউবেশন পিরিয়ড থাকে, যার অর্থ হল উপসর্গ এবং লক্ষণগুলি প্রকাশের আগে কিছু দিন এটি ব্যক্তির শরীরে সুপ্ত থাকে। প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল:মাথাব্যথা,গলা ব্যথা
,জ্বর এবং কামড়ের জায়গায় খিঁচুনি,অত্যধিক লালা নিঃসরণ, গিলতে অসুবিধা, গিলতে অসুবিধার কারণে পানির ভয়, উদ্বেগ, বিভ্রান্তি, অনিদ্রা এমনকি আংশিক পক্ষাঘাত কখনও কখনও কোমার মতো লক্ষণগুলি জলাতঙ্কের ইঙ্গিত দেয়।ব্যক্তি শব্দ, আলো এবং এমনকি বাতাসের ঠান্ডা স্রোতে অসহিষ্ণু। বাতাসের ভয়দেখা যায়।
পশু কান সজাগ ও চোখ বড় করে রাখে। মুখ দিয়ে প্রচুর লালা ঝরে। পানি পিপাসা হয়, তবে পান করতে পারে না। ভীষণভাবে অশান্ত হয়ে যায়,সামনে যা পায় তা’ই কামড়ানোর চেষ্টা করে। এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এনসেফালাইটিস সৃষ্টি করে এবং এর পরেই মৃত্যু ঘটে।
করণীয়:
যেসব প্রাণীর আঁচড় বা কামড়ে জলাতঙ্ক হয়,যেমন-কুকুর,বিড়াল,শেয়াল,বেজি,বানর,চিকাইত্যাদি প্রভৃতি থেকে সাবধান থাকা এবং তাদের সংস্পর্শে না আসা।
গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালকে নিয়মিত টিকা দেওয়া। কুকুর-বিড়াল মেরে ফেলার ব্যবস্থা করা। আগে থেকে টিকা দেওয়ার ব্যাবস্থা করাকামড়ালে ক্ষতস্থান সাবান পানি দিয়ে অন্তত ১০ মিনিট ধরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পভিডন আয়োডিন দিতে হবে। । গরম রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী কামড়ালে আঁচড় দিলে টিকার ব্যাবস্থা করা। তা ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ কুকুরও জলাতঙ্কের জীবাণু বয়ে বেড়াতে পারে। বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সম্পূর্ণ সুস্থ পাঁচটি কুকুর মেরে সেগুলোর মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেছেন, প্রতিটির মধ্যে ‘নেগরি-বডি’ রয়েছে, যা ভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণ করে। সুতরাং বাইরে থেকে আপাত সুস্থ দেখতে কুকুরের মধ্যেও জলাতঙ্কের জীবাণু থাকতে পারে। তাই কুকুরে কামড়ালে দেরি না করে টিকা নেওয়া উচিত।
প্রতিশেধক:
পোষা কুকুর,বিড়ালকে নিয়মিত প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে। টিকা দেয়া হয়নি এমন পশুর কামড়ে মানুষ বা পশু আক্রান্ত হলে অনতিবিলম্বে নির্ধারিত মাত্রায় প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে।
জলাতঙ্ক কি?
জলাতঙ্ক, যা হাইড্রোফোবিয়া নামেও পরিচিত,এটি একটি তীব্র ভাইরাস সংক্রমণ জনিত রোগ যা এক প্রকার মরণব্যাধি।এর ইংরেজী নাম র‌্যাবিস। এটি ল্যাটিন শব্দ। যার অর্থ ‘পাগলামী করা’। জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশু বা রোগীর আচরণ থেকেই এই নামকরণের সূত্রপাত।এটি এক প্রকার সংক্রামক রোগ এবং খামার বা বন্য প্রাণীদের দ্বারা সংক্রামিত হয়।সাধারণত মাংসাশী প্রাণী যেমন কুকুর,বিড়াল,শেয়াল,বেজি,বানর,চিকাইত্যাদি গরম রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীই জলাতঙ্কের বাহক।জলাতঙ্ক আক্রান্ত যে কোন প্রাণীর কামড়,আচড় এমনকি এদের লেহনেও জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে।বাংলাদেশে জলাতঙ্ক রোগের মূল কারণ জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর।এ রোগের লক্ষণ জল দেখলেই ভয় পাওয়া,জল খাওয়া বা পান করার সময় খাদ্য নালীর উর্ধভাগের মাংসপেশীতে ব্যথাসহ তীব্র সংকোচন হতে পারে। এ জন্যই এর নাম জলাতঙ্ক। এই জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে কুকুর এবং মানুষ উভয়েরই মৃত্যু অনিবার্য।এটি জুনোটিক রোগের অধীনে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে জুনোটিক মানে প্রাণীদের সাথে সম্পর্কিত।একটু সচেতন হলেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লক্ষণ:
জলাতঙ্কের একটি ইনকিউবেশন পিরিয়ড থাকে, যার অর্থ হল উপসর্গ এবং লক্ষণগুলি প্রকাশের আগে কিছু দিন এটি ব্যক্তির শরীরে সুপ্ত থাকে। প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল:মাথাব্যথা,গলা ব্যথা
,জ্বর এবং কামড়ের জায়গায় খিঁচুনি,অত্যধিক লালা নিঃসরণ, গিলতে অসুবিধা, গিলতে অসুবিধার কারণে পানির ভয়, উদ্বেগ, বিভ্রান্তি, অনিদ্রা এমনকি আংশিক পক্ষাঘাত কখনও কখনও কোমার মতো লক্ষণগুলি জলাতঙ্কের ইঙ্গিত দেয়।ব্যক্তি শব্দ, আলো এবং এমনকি বাতাসের ঠান্ডা স্রোতে অসহিষ্ণু। বাতাসের ভয়দেখা যায়।
পশু কান সজাগ ও চোখ বড় করে রাখে। মুখ দিয়ে প্রচুর লালা ঝরে। পানি পিপাসা হয়, তবে পান করতে পারে না। ভীষণভাবে অশান্ত হয়ে যায়,সামনে যা পায় তা’ই কামড়ানোর চেষ্টা করে। এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এনসেফালাইটিস সৃষ্টি করে এবং এর পরেই মৃত্যু ঘটে।
করণীয়:
যেসব প্রাণীর আঁচড় বা কামড়ে জলাতঙ্ক হয়,যেমন-কুকুর,বিড়াল,শেয়াল,বেজি,বানর,চিকাইত্যাদি প্রভৃতি থেকে সাবধান থাকা এবং তাদের সংস্পর্শে না আসা।
গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালকে নিয়মিত টিকা দেওয়া। কুকুর-বিড়াল মেরে ফেলার ব্যবস্থা করা। আগে থেকে টিকা দেওয়ার ব্যাবস্থা করাকামড়ালে ক্ষতস্থান সাবান পানি দিয়ে অন্তত ১০ মিনিট ধরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পভিডন আয়োডিন দিতে হবে। । গরম রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী কামড়ালে আঁচড় দিলে টিকার ব্যাবস্থা করা। তা ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ কুকুরও জলাতঙ্কের জীবাণু বয়ে বেড়াতে পারে। বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সম্পূর্ণ সুস্থ পাঁচটি কুকুর মেরে সেগুলোর মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেছেন, প্রতিটির মধ্যে ‘নেগরি-বডি’ রয়েছে, যা ভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণ করে। সুতরাং বাইরে থেকে আপাত সুস্থ দেখতে কুকুরের মধ্যেও জলাতঙ্কের জীবাণু থাকতে পারে। তাই কুকুরে কামড়ালে দেরি না করে টিকা নেওয়া উচিত।
প্রতিশেধক:
পোষা কুকুর,বিড়ালকে নিয়মিত প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে। টিকা দেয়া হয়নি এমন পশুর কামড়ে মানুষ বা পশু আক্রান্ত হলে অনতিবিলম্বে নির্ধারিত মাত্রায় প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে।

































Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.