তাবলীগ জামআতের ইতিহাস ।

 



তাবলীগ জামআতের ইতিহাস:


মূল দেওবন্দী আন্দোলনের আত্মশুদ্ধি বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তাবলীগ জামাতের আত্নপ্রকাশ হয়।


উৎপত্তি:

প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি এমন একটি সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন যার মাধ্যমে কুরআনে ও হুজুর( সা:)নির্দেশিত সঠিক কাজ ও নিষেধ কে বাস্তবায়ন করার জন্য একটি দল তৈরী হবে ঠিক যেমনটি বাস্তবায়নের স্বপ্ন তার শিক্ষক দেওবন্দের রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি( র:) ব্যক্ত করেছিলেন।


 ১৯২৬ সালে মক্কায় তার দ্বিতীয় (হজ্জ্ব) যাত্রায় তিনি এই আন্দোলন বাস্তবায়নের মূল অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন৷ জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার সময় তিনি তার পান্ডিত্য, বক্তব্য দক্ষতা বিষয়সমূহ নিয়ে নিজের মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করেছিলেন।

তারপরও তিনি এটা বাস্তবায়নে দৃঢপ্রতিজ্ঞ ছিলেন। শুরুতে তিনি একগুচ্ছ মসজিদ-ভিত্তিক ইসলামি পাঠশালা-বয়স্কশিক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন যাতে সনাতন সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মুখোমুখি মেওয়াত অঞ্চলের অশিক্ষিত দরিদ্র মুসলিমদেরকে সঠিক আকিদা ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দিতে পারেন৷ এতে তিনি  কিছুকাল পর  অনুধাবণ করেন যে এ পদ্ধতিতে বেশকিছু নতুন ইসলামি পণ্ডিত তৈরী হলেও কোন ধর্মপ্রচারক তৈরী হচ্ছে না।


এই ধর্মপ্রচার আন্দোলন শুরু করার জন্য মাওলানা ইলিয়াস সাহেব( র: )মাদ্রাসা মাজহারুল উলুমে তার শিক্ষকতার চাকরীটি ছেড়ে দেন যাতে মুসলিমদের আত্নশুদ্ধির কার্যক্রমে নিজেকে পুরোপুরি আত্ননিয়োগ করতে পারেন। অতঃপর তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকাতে চলে আসেন এবং ১৯২৬ বা ১৯২৭  সালে আন্দোলনটি শুরু করেন।

 ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবী মুহাম্মাদ (স:)যে কর্মপদ্ধতী অনুসরণ করেছিলেন, আন্দোলনের কর্মপন্থা, নীতিনির্ধারণ করার সময় মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (র:)তা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। যে স্লোগানটিকে সামনে রেখে তিনি আন্দোলন শুরু করেছিলেন তার অর্থ হল, "হে মুসলমান, [সত্যিকারের] মুসলমান হও!" যা প্রকৃতপক্ষে তাবলীগ জামাত আন্দোলনের মূল লক্ষ্যকে প্রকাশ করে। 


আর, পুনঃজাগরণ ঘটিয়ে সর্বোক্ষেত্রে (সা:)এর জীবনী দৃঢভাবে অনুসরণ করে সমগ্র মুসলিম সমাজকে তার আমলের ন্যায় একত্রিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য, বলে তারা দাবী করেন। এই আন্দোলন দ্রুতই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে বলে জানা যায়, ১৯৪১ সালে তাদের বার্ষীক আলোচনাসভায় প্রায় ২৫,০০০ জন  অংশগ্রহণ করে।


আন্দোলনটি এমন সময়কালে শুরু হয়েছিল যেসময় ভারতবর্ষের কিছু মুসলিম নেতা আশঙ্কা করছিলেন যে মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় পরিচয় হারিয়ে ফেলছেন এবং ধর্মীয় প্রথা-প্রার্থনাও (প্রধানত নামাজ) ঠিকমতো মান্য করতে পারছেন না। তবে এই আন্দোলনটিকে কখনোই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ও নাম দেয়া হয়নি।তবে মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (র:) বলতেন যদি এর কোন নাম দিতাম তাহলে এটিকে 'তাহরিক-ই-ঈমান' অর্থাৎ ঈমানী আন্দোলন বলতাম।


উৎপত্তিস্থান দিল্লির মেওয়াত অঞ্চলটিতে, মেও নৃগোষ্ঠীর কৃষিসংশ্লিষ্ট দরিদ্র জনগণ বসবাস করতেন যারা রাজপুত জাতীগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্ত। ভারতবর্ষে ইসলামপ্রচার শুরু হওয়ার পর  মুঘল আমলে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তবে পরবর্তীতে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পালাবদল ঘটার সময়কালে অনেকেই পুনরায় সনাতন ধর্মাবলম্বন ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মুখে পড়েন। রজার ব্যলার্ড এর মতানুসারে, তৎকালীন সময়ে বাঁকী মেও জনগোষ্ঠীর পক্ষেও তাদের জনজীবনে এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব হতনা যদিনা তাবলীগ জামাত আন্দোলনের উত্থান ঘটতো।

উদ্দেশ্য:

তাবলিগ জামাতে বা যাহারা আল্লাহর রাস্তায় বের হয়  তাদের নিজস্ব ফিকহ অনুসরণে কোন বাধা দেওয়া হয় না, যতক্ষণ না তা সুন্নি ইসলাম হতে বিচ্যুত হয়।তাবলীগ জামাত দাওয়াতের উদ্ধৃতির মাধ্যমে এর উদ্দেশ্যকে সংজ্ঞায়িত করে, যা হল ইসলামের প্রচার বা প্রসারে ধর্মান্তরিতকরণের আহ্বান। তাবলীগ জামাত দাওয়াতকে শুধুমাত্র সৎকাজের আদেশ আর অসৎকাজের নিষেধ হিসেবে ব্যাখ্যা করে। তাদের মতে, মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা এবং সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেয়ার জন্য আল্লাহ পৃথিবীতে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছিলেন; কিন্তু যেহেতু নবী মুহাম্মদ (সা:)আল্লাহর শেষ বাণীবাহক, তিনার পরে আর কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না, তাই নবী মুহাম্মদ (সা:)বিদায় হজের ভাষণে মুসলমানদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্বটি দিয়ে গিয়েছেন।আর এ কথার উপর ভিত্তি করে রসূল (সা:)এর দিনকে প্রচার প্রসার করার চেষ্টা করা।তাবলিগ জামাত দাওয়াতের এই উদ্দেশ্যকে দুটি নির্দিষ্ট আয়াতের আওতায় সংজ্ঞায়িত করে। যে আয়াতের মাধ্যেমে আর ইঙ্গিত বহন করে।আয়াতের বাংলা অর্থ -


    তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০   

    তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩

তাদের মতে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে হুজুর পাক (সা:) এর মৃত্যুর পর সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের মাধ্যমে ইসলামী জীবন বিধান প্রচার ও প্রসারের কার্যক্রম আরো বিস্তৃতি লাভ করে] কিন্তু মুসলিম শাসকদের ক্ষমতা বিলুপ্তির পর ইসলামী প্রচার কার্যক্রমে ভাটা পড়তে থাকে, যা থেকে পরিত্রাণের জন্য মুসলিম মনীষীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল আর এ চিন্তাধারা থেকে মুহাম্মদ ইলিয়াস সাহেব কান্ধলভি ভারতের দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন, যার প্রচেষ্টার ফলে তাবলিগ জামাত একটি বহুল প্রচারিত অবস্থার রূপ নেয়। তাবলিগ জামাত সারা বিশ্বে ইসলামের দাওয়াত ঘরে ঘরে বাড়ি বাড়িপৌঁছে দেওয়াকে তাদের প্রধানতম উদ্দেশ্য কাজ মনে করে থাকে।

তাবলিগ জামাত সকলকে দাওয়াতের ইসলামী চাহিদা পুরণ করতে উৎসাহিত করে, যদিও কোন ব্যক্তি শক্তিশালী ধর্মীয় বুদ্ধিবৃত্তির অভাবসম্পন্ন হয় তবুও। এই বৈশিষ্টটি ছিল অন্যান্য ইসলামী আন্দোলন থেকে আলাদা, যেগুলো প্রধানত ওলামা পরিচালিত এবং যাতে নেতৃত্বের ভূমিকা ধর্মীয় পণ্ডিতদের মধ্যে বিস্তৃত ছিল। এছাড়াও ধর্মপ্রচারের জন্য ইসলামী পাণ্ডিত্যের সর্বোচ্চ মানদণ্ড অর্জন করা পূর্বশর্ত হওয়ার যে নেতৃস্থানীয় মতবাদ আছে, তাবলীগ জামাত তা অস্বীকার করে এবং তারা দাওয়াত দেওয়াকে আত্মসংশোধনের একটি ক্রিয়াকৌশল  হিসেবে প্রচার করে।


তাবলীগ "তাদের চারপাশের 'অধার্মিক' সমাজ থেকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিচ্ছেদ" কামনা করে। তাবলিগ জামাতের একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবে বেশিরভাগ খুতবায় সুষ্পষ্টরূপে বলা হয়ে থাকে যে, মুসলমানগণ নবী মুহাম্মদ (সা:)দ্বারা অনুকরণীয় ইসলামী জীবনযাত্রাকে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করে থাকে এবং তার আমন্ত্রণ জানায়। 

এর সাথে বিশদভাবে বর্ণিত একগুচ্ছ ধর্মীয় সঠিক আচরণও জড়িত থাকে: "(নবীর) অনুসারীদের অবশ্যই উচিৎ নবীর মতো পোশাক পরা, তিনি যেভাবে ঘুমাতেন সেভাবে ঘুমানো, ডানদিকে পাশ ফিরে। বাম পায়ে টয়লেটে প্রবেশ করা, ডান পায়ে বের হওয়া। কিন্তু ডান পায়ে পায়জামা পরিধান শুরু করা, খাবারের সময় কাটাচামচ ব্যবহার না করা, পরিবর্তে হাত ব্যবহার করা। এভাবে রসূল সা: এর সমস্ত জিন্দেগি কে অনুসরণ করা।


মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস সাহেব(র:)যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন তা হল কমপক্ষে দশ জন ব্যক্তির একটি দল  সংগঠিত করা এবং তাদেরকে ধর্মপ্রচারের জন্য বিভিন্ন গ্রামে বা আশেপাশে প্রেরণ করা। এই 'বহির্গমন', বা দাওয়াতের সফরগুলো বর্তমানে তাবলিগ জামাতে র ওলামা  দ্বারা সংগঠিত হয়। এই সফরগুলোতে, "কর্মের ফজিলত সম্পর্কিত কিছু কথা রসূল (সা:)কে অনুকরণ বিষয়ক হাদীসে"র উপর জোর দেওয়া হয়। উক্ত ফাযায়েল (গুণাবলী) এর হাদীসে এগুলিকে ঈমান এবং আল্লাহর খাতিরে বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং তাবলিগ জামাত বিশ্বাস করে যে, এটি আখিরাতের (পরকালের) পুরষ্কারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আহরিত শক্তি। তাবলীগ জামাত প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস সাহেব প্রচার করতেন যে, সদ্গুণের জ্ঞান ও আমালু-সালিহা (সৎকাজ) হল মাসআলা-মাসায়েল এর জ্ঞানের চেয়ে অধিক জরুরী।ফিকহের বিস্তারিত জানা (নামাজের ফরজ ও সুন্নত) তখনই উপকারী হবে যখন একজন লোক নামাজ আদায়ের মত রীতিনীতি পালনে সক্ষম হবে। তারা জোর দেয় যে শিক্ষার সর্বোত্তম উপায় হল অন্যদেরকে শিক্ষা দেওয়া ও উৎসাহিত করা, কুরআন ও হাদিসের নবী, সাহাবা এবং আল্লাহর ওলী-আওলিয়া ("আল্লাহর বন্ধু")দের গল্পের আলোকে লিখিত তাবলিগ জামাত আন্দোলনের দ্বারা প্রস্তাবিত বইগুলোর সাহায্যে। যদিও এই আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত কিছু বই রয়েছে, তবেএতে বইয়ের পড়াশোনার উপর জোর দেওয়া হয়নি, বরং সরাসরি ব্যক্তিগত যোগাযোগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সাধারণত "তাবলীগী নিসাব" (তাবলিগী পাঠ্যক্রম) নামে পরিচিত কিছু বইয়ের একটি সংগ্রহকে সাধারণ পাঠের জন্য তাবলীগ জামাতের প্রবীণরা সুপারিশ করেন। এই বইগুলো হল - হায়াতুস সাহাবা , ফাযায়েলে আমল, রিয়াদুস সালিহীন, ফাযায়েলে সাদাকাত , ও মুন্তাখাব হাদীস।


আন্দোলনটি মুসলিমদেরকে তাদের দৈনিক রুটিনের বাইরে কিছু সময় তাবলিগী কাজকর্মে ব্যায় করতে উৎসাহিত করে।এবং জীবনের বাকি সময় টা অনুসারীদেরকে তাদের বিশ্বাসকে আরও গভীর করতে হুজুর সা: এর জীবনী, সাহাবীদের জীবনী,তবে তাবেইন দের জীবনী সম্পর্কে জানতে উৎসাহিত করে।


তাবলিগী নৈতিকতায় সামাজিক মিলনায়তন বা কিছু অ-সনাতন প্রথাগত এবং আনুষ্ঠানিক রীতিরেওয়াজে অংশগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করা হয়, যা সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ায় অতিরঞ্জিতভাবে অনুসরণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বার্ষিক ধর্মীয় সভা বা ইজতেমা এবং অন্যান্য অনুরূপ গণসভাগুলোতে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়, যাতে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচলিত ব্যয়বহুল উদযাপনব্যবস্থা এড়ানো যায়।


সংগঠনটির সূচনাকালীন সময়ে এবং দক্ষিণ এশিয়ায়, তাবলিগ আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সনাতন মতবাদে ফিরে আসা এবং প্রথাবিরোধী বা "প্রান্তিক" মুসলমানদের মুসলিম ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক পরিচয় "শুদ্ধ" করা যারা এখনও হিন্দু ধর্মের সাথে সংযুক্ত রীতিনীতি এবং ধর্মীয় আচার পালন করছিল। বিশেষত যার উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু ধর্মান্তরিতকরণ আন্দোলনের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা যারা প্রায়শই হিন্দু ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত এসকল মুসলিমদের লক্ষ্য করে কাজ করতো। প্রচলিত ধর্মান্তরিতকারী আন্দোলনসমূহের বিপরীতে, তাবলিগ জামাত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অমুসলিমদের কাছে ধর্মপ্রচার করার পরিবর্তে মুসলমানদের আরও ভাল ও বিশুদ্ধ এবং আদর্শিক ও "ধর্মীয়ভাবে নিখুঁত" করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। এর কারণ হল (এটি বিশ্বাস করে) অমুসলিমদের কাছে দাওয়াত কেবল তখন কার্যকর হবে (বা আরও কার্যকর হবে) যখন কোন মুসলমান নিজে "পরিপূর্ণতা"য় পৌঁছাবে।

তাবলীগ জামাআত ছয় গুণের কথা বলে

ছয়টি গুণ:

  • কালিমা
  • নামাজ
  • এলেম ও জিকির
  • একরামুল মুসলিমিন 
  • তাসহীহে নিয়াত
  • দাওয়াত বা tabling

তাবলিগ জামাত কোন একটি গ্রাম বা আশেপাশের এলাকায় যায় তখন ঐ এলাকার মুসলমানদের মসজিদে একত্রিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায় এবং ছয়টি গুণের কথা বলে তাদের কাছে বার্তা উপস্থাপন করে। তাদের মতে, এই ছয়টি বৈশিষ্ট্যটি নবী (সা:)এর সাহাবীদের জীবন থেকে উদ্ভূত। হাদীসের একটি বর্ণনায় বর্ণিত হয়েছে, "আমার সাহাবীগণ নক্ষত্রের মতো, যে কেউ যে কোনো সাহাবীর অনুসরণ করে, সে সৎপথ প্রাপ্ত হবে।আর প্রত্যেক মুসলমানদের বিশ্বাস সাহাবীরা ছিলেন রসূল(সা:) এর পরে সেরা মানুষ। তাবলীগ জামাতের মতে, মুহাম্মদ ইলিয়াস শুধু একে ছয়টি সিফাত আকারে পেশ করেছেন মাত্র, যা তাবলীগী জামায়াতের শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মতে, এটির মূলত ৬ টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা যা প্রত্যেককে অর্জন করতে হয়, যা পুরো দ্বীন অনুসরণ করা সহজ করে দেবে। এগুলো হলঃ কালিমা, নামাজ, যিকির, এখলাসে নিয়ত, একরামুল মুসলিমীন ও দাওয়াতে তাবলীগ।

আরও পড়ুন--

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.