সুস্থ দুগ্ধ গাভীর লক্ষণ কি কি?

  

দুগ্ধ উৎপাদনকে প্রভাবিত করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি হল আপনার গরুর সুস্থতা।দুগ্ধজাত গাভীর সাথে আপনার ভুল পদক্ষেপ আপনার গরুকে অসুস্থ করতে পারে।তবে ধারাবাহিকভাবে গরুকে সুস্থ রাখার সর্বোত্তম উপায় হল একটি সুস্থ গরুর লক্ষণগুলি জানা এবং যেকোনো অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধ করা। অনুশীলনের মাধ্যমে একটি সুস্থ গরু সনাক্ত করা তুলনামূলকভাবে সহজ।তাদের ভিতর কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন –

  1. একটি সুস্থ গরুর কোন অস্বাভাবিক নড়াচড়া থাকবে না।
  2. তাদের একটি চকচকে এবং মসৃণ আবরণ থাকবে।
  3. উজ্জ্বল এবং সতর্ক চোখ এবং খাড়া কান থাকবে।
  4. তাদের গোবর নরম হবে এবং তাদের প্রস্রাব পরিষ্কার হতে হবে,প্রস্রাব কোনো রকম গন্ধ থাকবে না।

আপনি যদি আপনার দুগ্ধজাত গরুর কোনো রকম অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন তাহলে সাথে সাথে আপনার পশুচিকিৎসকের সাথে সাথেযোগাযোগ করুন,কারণ এটি আপনার বাকী পশুর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

আপনি যদি আরও জানতে চান আপনার গাভীগুলি সাভাবিক কিনা তাহলে আসুন দুগ্ধজাত গাভীর ভাল স্বাস্থ্যের লক্ষণগুলি পরীক্ষা করি।

আপনি একটি সুস্থ গরুর মধ্যে কি লক্ষণ দেখতে পারেন?

সাধারণ চেহারা :

আপনার দুগ্ধপোষ্য গাভী তার আশেপাশের প্রতি সজাগ থাকবে এবং চারটি খুরের উপর চৌকোভাবে দাঁড়াবে। চারপাশে কী ঘটছে তা দেখার জন্য তারা সাধারণত মাথা উঁচু করে থাকে।

  • চোখ- চোখ দুটি উজ্জ্বল এবং সতর্ক থাকবে।চোখ কোনো ময়লা থাকবে না।
  • কান - কান খাড়া, নাড়াচাড়া করবে,পাশে শব্দ করুন,সজাগ থাকবে।
  • নাক এবং মুখবন্ধ - তাদের নাকটি যে কোনও ময়লা থেকে পরিষ্কার থাকবে এবং মুখটি আর্দ্র হওয়া হবে। সুস্থ গরু ঘন ঘন নাক চাটে।
  • মুখ -যদি আপনার গরু লালা ঝরায়, তাহলে সম্ভবত কিছু সমস্যা আছে। যদি তাদের চিবানোর সমস্যা হয় বা তারা যদি ধীরে ধীরে চিবিয়ে খায়, তবে তাদের মৌখিক গহ্বরটি যে কোনও সমস্যার কারণে হতে পারে , এ জন্য পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
  • চুল/ত্বক- স্বাস্থ্যকর গরুর মসৃণ এবং চকচকে চুল বা ত্বক থাকে।
  • শ্বাস-প্রশ্বাস-বিশ্রামের সময় একটি সুস্থ গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস মসৃণ এবং নিয়মিত হয়।গরম আবহাওয়া এবং পরিশ্রম তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে।
  • পালস - গরুর নাড়ি পরীক্ষা করতে, আপনার বুড়ো আঙুল এবং তর্জনী দিয়ে লেজটি হালকাভাবে ধরে রাখুন। একটি সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কের গরু প্রতি মিনিটে ৪০থেকে ৮০বীট হয়, তবে অল্প বয়স্ক বাছুরের মধ্যে কিছুটা বেশি হতে পারে।
  • গোবর/প্রস্রাব - গোবর সাধারণত নরম, কিন্তু পাতলা নয়। যদি খুব পাতলা,শক্ত বাএকবারে চাকার মত গোলাকার (কোষ্ঠকাঠিন্য), হয় তবে বুজবেন সমস্যা আছে। তাদের প্রস্রাব পরিষ্কার, তাই যদি এতে কোন রঙ থাকে বা তাদের প্রস্রাব করতে অসুবিধা হয় তবে তাদের পরীক্ষা করান।
  • ক্ষুধা - আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার গবাদি পশুর ক্ষুধার ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে, এটি অসুস্থ স্বাস্থ্যের লক্ষণ হতে পারে।
  • দুধ - যদি তল ফুলে যায় বা স্পর্শে ব্যথা হয় তবে আপনার গাভীতে কিছু সমস্যা আছে।গভীর উলান সহজেই আহত হয় এবং এটি দুগ্ধজাত গাভীর সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির মধ্যে একটি। হঠাৎ করে দুধের উৎপাদন কমে যাওয়া একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, যখন দুধের রং পরিবর্তন হয় তখন সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়।
  • শরীরের তাপমাত্রা - মানুষের মতোই, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা সংক্রমণকে নির্দেশ করে,উচ্চতাপমাত্রা গরুর সুস্থ্যতার লক্ষণ।এটি পরিবেশগত কারণ হতে পারে আবার অন্য করন হত পারে। গরুর মধ্যে তাপমাত্রার চাপ একটি বড় সমস্যা।
  • আচরণ - সুস্থ গরু বেশ শান্ত, তাই অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে বুঝতে হবে সমস্যা আছে।উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি গরু তার পেটে লাথি মারতে থাকে, তবে সম্ভবত পেটে ব্যথা হতে পারে।


কিভাবে পশু স্বাস্থ্য পরিচালনা করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ আগামীতে। আমাদের সাথেই থাকুন।

আরও পড়ুন —


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.