Flatulence causes, precautions, remedies



পেট ফাঁপা রোগ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করার আগে জানতে হবে রোগটা কি?

পেট ফাঁপা:-
রোমন্থক প্রাণি খাদ্য হজম করার সময় অনেক গ্যাস উৎপন্ন করে। যদি কোন কারণে গ্যাস রুমেন থেকে বের হতে না পারে তাহলে পেট ফুলে উঠে. যা পেট ফাঁপা নামে পরিচিত।এক কথায় বলতে পারি গবাদিপশুর রুমেনের গতিশীলতা হ্রাস পেলে এই রোগটি সাধারণ হয়ে থাকে।
পেট ফাঁপার কারন:-
১. প্রদানত খাদ্যের কারনে টিমপানি হয়।
২. অতিরিক্ত লিগুমিনাস জাতীয় ঘাস(যেমন-খেসারী, বারশীম মটর ইত্যাদি)খাওয়ালে।
৩.খাদ্যনালীর স্বাভাবিক কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হলে, রুমেনের গতিশীলতা হ্রাস পেলে।
৪.দানাদার খাবার বেশি খাওয়ালে এবং অনেক দিনের মজুদকৃত খাবার খাওয়ালে।
৫. চারণভূমিতে অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে।
৬.খাধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও নাইট্রোজেন প্রদান করলে
৭.পঁচা বাসী খাবার খাওয়ালে।
৮.খাদ্যনালীর স্বাভাবিক কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হলে।
৯.রুমেনের গতিশীলতা হ্রাস পেলে।
৯.খাদ্যনালীর কোথাও কোন ব্লক তৈরি হলে এই সমস্যা হয়ে থাকে।
১০.সবুজ ঘাস কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য খেলে।

লক্ষণ:-

১.হঠাৎ করে পেটের বাম পাশ ফুলে যায় যা স্পষ্ট বুঝা যায়।
২. আক্রান্ত প্রাণি অস্বস্তি বোধ করে এবং বার বার মাটিতে উঠাবসা করে ,অনেক সময় পেটে লাথি মারতে দেখা যায়।
৩.শ্বাসকষ্ট হয় এবং জিহবা বের করে মুখ হা করে শ্বাস নেয়।
৪.লালাক্ষরণ হতে দেখা যায় এবং মাথা সামনের দিকে লম্বা করে রাখে।
৪। খাবার খাওয়া বন্ধ করে।
৫.প্রস্রাব-পায়খানাও বন্ধ হয়ে যায়।
৬.জাবর কাটা বন্ধ হয়ে যায়।
৭.পশুকে দুর্বল ও নিস্তেজ দেখায়।
৮.আঙ্গুল দিয়ে পেটে টোকা দিলে একটা শব্দ অনুভূত হয়।
৯. পেটে চাপ দিলে শক্ত অনুভব হয়।
সতর্কতা:-
১.পরিষ্কার দানাদার খাবার খাওয়াতে হবে।
২.পঁচা বাসী খাবার খাওয়ানো যাবে না।
৩.খেসারী, বারশীম মটর ইত্যাদি অতিরিক্ত না খাওয়ানো।
৫. চারণভূমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে কমপক্ষে দুই দিন পর খাওয়ানো।
৬. প্রয়জন ছাড়া ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও নাইট্রোজেন প্রদান না করা।
চিকিৎসা:-
১.প্রাথমিক অবস্থায় আদা বেটে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে গরুর ওজন বুঝে।(১০০ গ্রাম বা১৫০ গ্রাম বা কম বা বেশি)
২.আদর সাথে খাবার সোডা খাওয়ানো যেতে পারে।(২ থেকে ৫ চা চামচ ওজন বুঝে)
এটা পেট ফাঁপার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঔষুধ।(গর্ভকালে ও নিরাপদ)
৩.এন্টিব্লোট প্রিপারেসন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। 
৪.ঔষধ খাওয়ানোর পর গরুটিকে হাটাহাটি করাতে হবে, যাতে করে এন্টি ব্লোট প্রিপারেসন টি ভালভাবে রুমেনের গ্যাসের সাথে মিশে যেতে পারে।
৪। অতি তীব্র প্রকৃতির পেট ফাঁপা অবস্থায় পেটের উপরের দিকের বামপাশে প্যারালাম্বার ফোসার মধ্যেখানে ছিদ্র করে গ্যাস বের করে দিতে হয়।
 
বি :দ্রষ্টব্য - ঔষধ এর নাম দেবার চেষ্টা করলাম খামারে রাখতে পারেন ইনশাল্লাহ উপকার পাবেন।
সাসপেনশনঃ (গর্ভকালে নিরাপদ) ১.নো ব্লট ভেট
২.ব্লটষ্টপ ভেট
৩.জিরোব্লট ভেট
৪.ম্যাগভেট প্লাস

পাউডার:(গর্ভকালে নিরাপদ)
১.বভিকেয়ার
২.রুমেনই প্লাস
৩.জাইমোভেট
 আরও বিভিন্ন রকমের পাউডার পাওয়া যায়।
ট্যাবলেটঃ (গর্ভকালে নিরাপদ)
১.রুমেনটন
২.রুমকিওর
৩.বায়োকাড্ এক্সপি
৪.রুমকিওর
বাজারে আরও বিভিন্ন ট্যাবলেট পাওয়া যায়। 
তবে আপনার খামারে কোনো সমস্যা হলে
প্পশু চিকিৎসক বা প্রানী সম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন এবং আপনার খামারের প্রাণীটিকে সুস্থ রাখুন আর আপনি লাভবান হন।
আরও পড়ুন –



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.